গত কয়েক মাস ধরে সারাদেশের সকল জেলা ও উপজেলার গ্রাম-গঞ্জের হাটবাজারে চাল, ডাল, তেল, আটা-ময়দা, মাছ-মাংস ও সবজিসহ সব ধরনের নিত্যপণ্য এক কথায় খাদ্যদ্রব্যের অগ্নিমূল্যতে নিম্ন-মধ্যবিত্তের মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। আর এর সাথে বাজার সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। এদের কারসাজিতে বাজারে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা এবং নেই কোন নিয়ন্ত্রণ। এমন অবস্থায় বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে প্রশাসনিক ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের বেশি বেশি অভিযান দরকার।
গত এক মাসের ব্যবধানে চালের দাম বেড়েছে ৭ থেকে ৮ টাকা, আটা-ময়দা কেজি প্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা, সয়াবিন তেল লিটার কিছুটা কমে ১৯০ টাকা। এছাড়াও মাছ-মাংসের দামের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সবজি ও ডিমসহ সকল নিত্যপণ্যের দাম। এতে করে দিনমজুর, নিম্ন আয়ের মানুষ ও মধ্যবিত্ত মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে হতাশা। খাদ্যদ্রব্যের মূল্যে বাড়লেও এসব শ্রেণি-পেশার মানুষের বাড়েনি কাংক্ষিত আয়। এমন অবস্থায় ছোট ও বড় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পরিবারের উপার্জনশীল ব্যক্তিদের কষ্টের সম্মুখিন হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
দেশের সকল জেলা ও উপজেলার হাট-বাজারে খাদ্যদ্রব্যের এমন অগ্নিমূল্যেয় সরকারের পক্ষ থেকে টিসিবি উন্মুক্ত করে দিয়ে নিত্যপণ্য সরবরাহ করা হলে নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও শ্রমিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অনেকটাই উপকৃত হবে। তাই টিসিবিকে সার্বজনীনভাবে চালু করা দরকার বলে এমনটাই মন্তব্য সচেতন মহলের। পাশাপাশি বাজার সিন্ডিকেট অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে বাজার অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণ করতে এখনই পদক্ষেপ নিতে উপজেলা প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্টদের বাজার মনিটরিং খুবই প্রয়োজন রয়েছে।
খাদ্যদ্রব্যের এমন অগ্নিমূল্যে নিয়ন্ত্রণ আনতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসতে হবে এবং সেই সাথে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেত স্থানীয় প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। তবেই খাদ্যদ্রব্যের লাগাহীন মূল্যে নিয়ন্ত্রণে আনা অনেকটাই সম্ভব হবে।