স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় সারাদেশের জেলা ও উপজেলায় অনিবন্ধিত প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে সোমবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে শেরপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ অভিযান শুরু করে। প্রথম দিনের অভিযানে ৫০টি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে এর মধ্যে ৪৩টির কাগজপত্র সঠিক পাওয়ায় এবং ৭টির কাগজপত্র সঠিক না থাকায় সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দিনব্যাপী শেরপুর জেলা সদর হাসপাতাল সড়কের নারায়ণপুর এলাকায় গড় ওঠা প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টচার্য্য এর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় ওই এলাকার ৫০টির মধ্যে ৪৩টি কাগজপত্র সঠিক পাওয়া যায় এবং ৭টির অনুমোদন না থাকায় সেগুলো বন্ধ ঘোষনা করেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
অনিবন্ধিত এবং বন্ধ করে দেয়া প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলো হলো- আর.এইচ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বন্ধন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নিউ ইনসাফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সিদ্দিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সেন্ট্রাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নিউ লাইফ প্রাইভেট হাসপাতাল, শিরিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
এসময় সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টচার্য্য বলেন, জেলা সদর ও বিভিন্ন উপজেলায় প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে আগামী ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধারাবাহিক অভিযান চলবে। এতে যাদের কাগজপত্র সঠিক নেই এবং অনিবন্ধিত ভাবে পরিচালিত হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে তিনি এমনটাই জানান।
অভিযানকালে সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মোবারক হোসেন, মেডিক্যাল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. মো. আহসানুল হাবিব, মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আসমাউল ইসলাম, আক্রাম হোসেন সহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
হামিদুর/দেশবার্তা