রক্তাক্ত বিভীষিকাময় ২১ আগস্ট। বাংলাদেশের ইতিহাসে ভয়াবহতম ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৮ তম বার্ষিকী উপলক্ষে শেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের আয়োজনে ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা শহরের রঘুনাথ বাজার মোড়ে রোববার (২১ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪ টায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও বিভীষিকাময় ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় নিহত শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি, প্রতিবাদ সমাবেশ ও স্মরণসভার সভাপতিত্ব করেন শেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রকাশ দত্ত।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. আতিউর রহমান আতিক এমপি। এসময় তিনি বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে নারকীয় হত্যাকান্ড ও সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও স্ব-পরিবারে হত্যা এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা একই সূত্রে গাঁথা। তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বর্বরোচিত হামলায় আহত হন। তিনি আরো বলেন, ‘সেদিন আল্লাহর অশেষ রহমতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অলৌকিকভাবে বেঁচে গিয়েছেন। কিন্তু আইভি রহমানসহ আওয়ামী লীগের ২৪জন নেতাকর্মী নিহত এবং ছয়জন সংসদ সদস্যসহ পাঁচ শতাধিক আহত হয়েছিলেন, অনেকেই পঙ্গুত্ববরণ করেছেন, আহতরা সবাই গ্রেনেডের স্পিন্টার বয়ে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া এবং তার দল পার্লামেন্টে একটি নিন্দা প্রস্তাব আনতে দেয়নি বরং হাস্যরস করা হয়েছে। পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বলা হয়েছে যে আমাদের নেত্রী না কি ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড বোমা নিয়ে গিয়ে ছিলেন।
শেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হাসান উৎপল এর সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল পিপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম। এছাড়াও অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বশিরুল ইসলাম সেলু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সুব্রত দে ভানু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আওলাদুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অজয় চক্রবর্তী জয়, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শোয়েব হাসান শাকিল।
এসময় শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব ফখরুল মজিদ খোকন, সহ-সভাপতি এডভোকেট একেএম মোছাদ্দেক ফেরদৌসী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ এম.এ বারেক তোতা, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিনয় কুমার সাহা, জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য অধ্যক্ষ গোলাম হাসান সূজন, পাকুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব মো. হায়দার আলী সহ আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
হামিদুর/দেশবার্তা