ঢাকাSunday , 21 August 2022
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইটি বিশ্ব
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খেলা
  7. চাকরি চাই
  8. পর্যটন
  9. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  10. বিনোদন
  11. মতামত
  12. রাজনীতি
  13. লাইফ স্টাইল
  14. শিক্ষাঙ্গন
  15. সাক্ষাৎকার
 
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শোকের মাসে শোক থেকে অর্জিত হোক শক্তি

admin
August 21, 2022 4:51 am
Link Copied!

স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোন একক ব্যক্তিমাত্র নন। অবিনশ্বর এক আদর্শ ও প্রেরণার নাম। তিনি একটি রাষ্ট্রের প্রতিচ্ছবি। যার মধ্যে রয়েছে আন্দোলন, সংগ্রাম ও মুক্তির ঐক্যতান। তিনি ছিলেন স্বাধীনতার রূপকার ও অবিসংবাদিত অকুতোভয় নেতা এবং জাতির জন্য এনে দিয়েছিলেন মহান স্বাধীনতা। বিশ্বদরবারে নিজেদের অস্তিত্ব প্রমাণের জন্য বিভিন্ন দেশের স্বীকৃতিও আদায় করেছিলেন। ভাল কূটনৈতিক দক্ষতার কারণে খুব অল্প সময়ে বিভিন্ন দেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং দেশকে এগিয়ে নিতে গ্রহণ করেন নানা পদক্ষেপ। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী একটি চক্র সর্বদা দেশের অগ্রগতি থামানোর চেষ্টায় লিপ্ত ছিল। ফলে স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছর পরই এই মহানায়ক ও সপরিবারকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাতে নৃশংসভাবে হত্যা করে স্বাধীনতাবিরোধীরা। বেদনাবিধুর ও কলঙ্কের কালিমায় কলুষিত বিভীষিকাময় ইতিহাসের ভয়ঙ্কর দিন ১৫ আগস্ট। ইতিহাসের জঘন্যতম সেই হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে শুধু স্বাধীনতার স্থপতিকেই হারায়নি বাঙালী, দীর্ঘকালের শাসন-শোষণ থেকে মুক্ত হয়ে জাতীয় জীবনের যে, অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছিল তাও উল্টো পথে যাত্রা শুরু করে। এমন জঘন্য হত্যাকাণ্ডে আমরা যেমন শোকে মুহ্যমান ও বেদনাবিধুরতায় নিমজ্জিত হই, তেমনি অনুতপ্তও হই। যে মানুষটি বিশ্বের বুকে বাঙালীর আত্মপরিচয় এবং সেই সাথে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ উপহার দিয়েছে। তাকেই আমরা সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করেছি! এমন জাতি পৃথিবীতে বিরল। ফলে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র এবং অপশক্তি মাথা চারা দিয়ে উঠে। দেশের বুকে যে স্বপ্ন-চেতনায় স্বাধীন হয়েছিল দেশ তাও হয় ভূলুণ্ঠিত। দুই দশকের বেশি সময় পর বিগত ১৯৯৬ সালে স্বাধীনতার নেতৃত্ব দেয়া দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুই থেকে যান অগোচরে। উপেক্ষিত থেকে যায় তার নীতি-আদর্শ এবং বিকৃত করা হয় দেশের ইতিহাস। কী বীভৎস ছিল সেই রাত! একটি বাড়ি থেকে রক্ত গঙ্গা বইছে, সবকিছু এলোমেলো আর প্রথম তলার সিঁড়ির মাঝখানে নিথর পড়ে থাকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যিনি অবিসংবাদিত নেতা। তিনি এমন একজন নেতা ছিলেন যিনি নিজের জীবনের চেয়ে দেশের মানুষকে বেশি ভালবাসতেন। ১৯৭১ সালে পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে নিশ্চিত ফাঁসি যেনেও আপোষ করেনি শুধু স্বাধীনতার জন্য। তাই এমন সাহসিকতায় ১৫ আগস্ট ভয়ংকর কালো রাতে স্বাধীন দেশের একদল বিপথগামী সেনাদসদ্যেদের অস্ত্রের মুখেও ছিলেন অকুতোভয়। সে দিন রাতে ওই ঘাতকদের প্রশ্ন করেছিলেন, ‘তোরা কী চাস? কোথায় নিয়ে যাবি আমাকে?’ এ কথার পরপরই ঘাতকেরা তাকে ব্রাশ ফায়ারে নির্মমভাবে হত্যা করে। এছাড়াও কনিষ্ঠ শিশু ছেলে শেখ রাসেলসহ পরিবারের সকল সদস্যকে একে একে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে জাতি হয় অভিভাবক হীন। সেই সাথে বাঙালি জাতি ভাসতে শুরু করে শোক সাগরে। বাংলাদেশ যতদিন থাকবে এবং জাতির পিতার রক্ত বৃথা যাবেনা। তাই ১৫ আগস্টের শোককে বাঙালি জাতি শক্তিতে পরিণত করে এদেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে এমনটাই প্রত্যশা এবং অঙ্গীকার হোক আমাদের সকলের।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
ঢাকা অফিসঃ ১৬৭/১২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা- ১০০০ আঞ্চলিক অফিস : উত্তর তেমুহনী সদর, লক্ষ্মীপুর ৩৭০০