ঢাকাSaturday , 16 July 2022
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইটি বিশ্ব
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খেলা
  7. চাকরি চাই
  8. পর্যটন
  9. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  10. বিনোদন
  11. মতামত
  12. রাজনীতি
  13. লাইফ স্টাইল
  14. শিক্ষাঙ্গন
  15. সাক্ষাৎকার
 
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নকলায় গরমের প্রভাবে বিভিন্ন শরবতের চাহিদা বেড়েছে

admin
July 16, 2022 9:04 am
Link Copied!

দেশজুড়ে তীব্র গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ঠিক এমন সময় শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায় গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লোডশেডিং। তাই প্রচন্ড গরমে আখের রস ও বিভিন্ন শরবতের চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। এখানে শরবত ও আখের রসের চাহিদা বাড়ায় প্রতিদিন বাড়ছে মৌসুমি আখের রস বিক্রেতার সংখ্যাও। গরমে পথচারীরা আখের রস ও শরবতে যেন আত্মতৃপ্তির ভরসা খুঁজে পাচ্ছেন। এই সুযোগে নকলা শহরের বিভিন্ন মোড়ে বসেছে শরবত ও আখের রস বিক্রির ভ্রাম্যমাণ দোকান। প্রতিটি দোকানের সামনে ভিড় জমিয়েছেন অগণিত তৃষ্ণার্ত বিভিন্ন বয়সের পথচারী।

ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি গ্লাস আখের রস বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা করে, আর বিভিন্ন শরবত বিক্রি করা হচ্ছে ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা করে। এতে করে প্রতি বিক্রেতা দৈনিক ২,০০০ টাকা থেকে ২,৫০০ টাকা আয় করছেন। ফলে খরচ বাদে বিক্রেতারা ৮০০ টাকা থেকে ১,০০০ টাকা আয় করছে। ১৫ জুলাই শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে নকলা শহরের কাচারী মোড় ও ঢাকা-শেরপুর মহা সড়কের পাশে বসা ভ্রাম্যমাণ দোকানে আখের রস ও শরবত বিক্রির ধুম পড়েছে। এসব দোকানে স্থানীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা শরবতের মেশিন দিয়ে আখের নিরাপদ রস করে বিক্রি করছেন মৌসুমি শরবত বিক্রেতারা।

নকলা শহরের দড়িপাড়া এলাকার আখের রস বিক্রেতা দেলোয়ার হোসেন জানান, তিনি ৩/৪ বছর যাবৎ আখের রস বিক্রির পেশায় নিয়োজিত আছেন। এ পেশার আয় দিয়েই চলে তার সংসার খরচ।

তিনি আরও জানান, পার্শ্ববর্তী উপজেলা নালিতাবাড়ী থেকে আখ কিনে আনেন তিনি। পরে আখগুলো সুবিধাজনক ভাবে কেটে ভালোভাবে পরিষ্কার করে জনসম্মুখে মেশিন দিয়ে মাড়াই করে বিক্রি করেন। সব কিছু লোকজনের সামনেই করা হয়। কোন প্রকার ক্ষতিকর পদার্থের মিশ্রণ না থাকায় শরবতের চেয়ে আখের রসের চাহিদা কয়েকগুণ বেশি বলেও তিনি জানান।

শরবত বিক্রেতা রাজু মিয়া জানান, গ্রীষ্মকালে শরবত ও আখের রসের চাহিদা বেশি থাকে। তবে কয়েকদিন যাবত তীব্র গরম ও লোডশেডিং বেশি হওয়ায় শরবত ও আখের রসের চাহিদা অকল্পনীয়। পথচারীরা শরবত খেয়ে পরিবারের অন্যদের জন্য বোতলে করে বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার যেন হিড়িক পড়েছে। ফলে প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে শুরু করে রাত ৮টা পর্যন্ত  প্রতি জন বিক্রেতা ৩০০ গ্লাস থেকে ৩৫০ গ্লাস আখের রস বা শরবত বিক্রি করতে পারেন।

অটোরিক্সা চালক সুজন মিয়া জানান, সে প্রায় সারাদিন গাড়িতেই থাকেন। তবে সুযোগ পেলেই আখের রস বা শরবত খেতে চলে আসেন। তিনি বলেন আখের রস অনেক মজার। অল্পতেই পিপাসা মেটে।

আখের রস নিতে আসা মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, প্রচন্ড গরমের মধ্যে চলতি পথে আমি প্রায় প্রতিদিনই আখের রসের শরবত পান করি। আখের রস শরীর ঠান্ডা রাখে। তাছাড়া এই রস জন্ডিসসহ বিভিন্ন রোগের জন্য উপকারী বলেও তিনি মনে করেন।

বাড়ীতে আখের রস নিতে আসা মিথুন বলেন, বিভিন্ন কাজের জন্য আসা যাওয়ার পথে সময় পেলে আমি আখের রস পান করি। তবে আজ প্রচন্ড গরমে আখের রস খেতে একটু বেশিই ভালো লাগলো। বাড়ীর সবাই আখের রস পছন্দ করেন। তাই প্রতি লিটার ৩০ টাকা করে বোতলে ভরে আখের রস নিয়ে যাচ্ছি।

চিকিৎসাকদের মতে, আখের রস বেশ উপকারী, তবে যাদের ডায়াবেটিকস আছে আখের রস বা মিষ্টি শরবত তাদের জন্য উপকারের চেয়ে অপকারের পরিমান বেশি হতে পারে, তাই আবেগের বসে আখের রস বেশি পান করা ঠিক হবেনা। এই গরমে যত সম্ভব প্রচুর পরিমানে নিরাপদ পানি পান করা উত্তম বলে চিকিৎসকগণ জানান।

মোশারফ হোসাইন/দেশবার্তা

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
ঢাকা অফিসঃ ১৬৭/১২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা- ১০০০ আঞ্চলিক অফিস : উত্তর তেমুহনী সদর, লক্ষ্মীপুর ৩৭০০