শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার বারোমারী বাজারের পাশে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বিএডিসি প্রকল্পের একটি সেচ পাম্পের ৮০ ফুট পাকা নালা ভেঙ্গে পড়ে গেছে ভূ-গর্ভে। এতে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে সুবিধাভোগী কয়েকশ’ কৃষকের। আগামী সেচ মৌসুমে সেচ সুবিধা থেকে শত শত কৃষক বঞ্চিত হবেন বলে অভিযোগ করেন কৃষকরা।
সেচ পাম্পের আওতাভুক্ত কৃষকরা জানান, প্রভাবশালী রসুল মাহমুদ বিএডিসির ওই সেচ পাম্পের সাথে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন দীর্ঘদিন ধরে। এতে তিনি ৭০ থেকে ৮০ ফুট গর্ত করেছেন। সম্প্রতি পাম্প ও নালা ঝুকিঁপূর্ণ কিছু অংশ ধসে যাওয়ায় সাংবাদিকরা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় সংবাদও করেছিল। তবুও বালু উত্তোলন থামেনি রসুলের। স্থানীয় প্রশাসনও উদ্যোগ নিয়েছিল তার বালু উত্তোলন বন্ধের। রসুল মাহমুদ তার প্রভাব প্রতিপত্তির জোড়ে এইভাবে অবৈধ বালু উত্তোলন অব্যাহত রাখেন। তার এই অবৈধ বালু উত্তোলনে ধসে যায় চেল্লাখালী নদীর তীরের বেড়িবাঁধ। যার ফলে পাহাড়ি ঢলের পানি ওই গভীর গর্তে প্রবেশ করে অনায়াসে। এতে ধসে পড়ে ওই সেচ পাম্পের ৮০ ফুট নালা। বিএডিসি’র এই পাম্পের নালা অবৈধ বালু উত্তোলনে ধসে যাওয়ায় হুমকিতে রয়েছে ওই এলাকার ২শ’ একর আবাদী জমির কৃষকরা। দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে নালাটি মেরামতের জোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা।
সেচ পাম্পের ম্যানেজার কামাল হোসেন জানান, বার বার বাধা দেওয়ার পরও রসুল বালু উত্তোলন বন্ধ করেনি। তাই এই নালা মেরামত করতে না পারলে আগামি আবাদে সেচ সমস্যায় প্রায় ২শ’ একর জমি পতিত থাকবে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত রসুল মাহমুদ বলেন বালু উত্তোলন করেছিলাম। ঢলের পানিতে নালা ভাঙছে। আমার কারণে নয়।
মঞ্জুরুল আহসান/দেশবার্তা