শেরপুরে আদালতের কাঠগড়া থেকে মঙ্গলবার (২১ জুন) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মাদক মামলায় গ্রেফতারকৃত হ্যান্ডকাপ পরিহিত আঃ সালাম (২৫) নামে এক আসামী কৌশলে পালিয়ে যাবার ৩ ঘন্টা পর ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
আঃ সালাম সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের ইশলা (নামাপাড়া) গ্রামের গুঞ্জর আলীর ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের সদস্যরা ১৯ জুন রোববার বিকেলে মাদক ব্যবসায়ী আঃ সালামকে ২৪ গ্রাম হেরোইনসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে। পরে তাকে শেরপুর সদর থানায় সোপর্দ করে র্যাব-১৪ এর পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এদিকে পরদিন ২০ জুন সোমবার আসামী আঃ সালামকে মামলার তদন্তকারী অফিসার সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সূরেশ রাজবংশী পুলিশ হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করে। আদালত ২১ জুন রিমান্ড শুনানীর দিন ধায্য করে ওইদিন তাকে শেরপুর জেলা কারাগারে পাঠায়। পুলিশ মঙ্গলবার সকালে আসামী আঃ সালামকে জেলা কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে আসে। পরে পুলিশ তাকে আদালতের কাঠগড়ায় উঠায়। আদালতের অন্যান্য কাজের সময় লোক চক্ষুর আড়ালে হ্যান্ডকাপ পরিহিত অবস্থায় কৌশলে আসামী আঃ সালাম পালিয়ে যায়।
পরে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনসুর আহমেদ ও কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক খন্দকার শহীদুল হকের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালিয়ে পলাতক আসামী আঃ সালামকে ৩ ঘণ্টার মধ্যেই সদর উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়ন চকপাড়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যায়।
এব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া বলেন, আঃ সালাম পালানোর পরপরই আমরা অভিযানে নামি। পালানোর দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার মধ্যেই তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় কারো গাফিলতি আছে কিনা সেজন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কারো গাফিলতি প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
হামিদুর/দেশবার্তা