চীন তাদের নতুন মহাকাশ স্টেশনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে রবিবার এক মিশনে তিন নভোচারীকে মহাকাশে পাঠিয়েছে। মহাকাশ বিজ্ঞান সক্ষমতায় শক্তিধর দেশের কাতারে সামিল হওয়ার ক্ষেত্রে এটি চীনের সর্বশেষ মাইলফলক।
জাতীয় সম্প্রচার মাধ্যম সিসিটিভি জানায়, চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় গোবি মরুভূমিতে জিউকুয়ান উৎক্ষেপন কেন্দ্র থেকে লংমার্চ ২এফ রকেটে (গ্রীনিচ মান সময় ০২৪৪টায়) তিন নভোচারী মহাকাশে যাত্রা করে। নভোচারীরা তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশনের সম্প্রসারণ কাজে ছয় মাস সেখানে অবস্থান করবেন।
তিয়ানগং অর্থ হচ্ছে ‘স্বর্গীয় প্রাসাদ’ (হ্যাভেনলি প্যালেস), এটি চলতি বছরের শেষ নাগাদ চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চীন ব্যাপকভাবে মহাকাশ কর্মসূচি জোরদারে ইতোমধ্যেই মঙ্গলে রোভার এবং চাঁদে প্রোব পাঠিয়েছে।
শেনঝু-১৪ ক্রু মিশনের এই তিন নভোচারী ‘ইন-অরবিট সংযোজন এবং মহাকাশ স্টেশনের নির্মান কাজের পাশাপাশি ‘সরঞ্জামের কমিশনিং’ এবং বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবেন।
বিমান বাহনীর পাইলট চেন ডং (৪৩) এর নেতৃত্বে তিন নভোচারীর প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে স্টেশনের দুটি ল্যাব মডিউলকে স্টেশনের মূল অংশের সঙ্গে সংযুক্ত করা। ডংসহ পাইলট লিউ ইয়াং ও কাই জুজে গত ছয় মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ক্রু মিশন, এর আগের মিশনের ক্রুরা ১৮৩ দিন মহাকাশ স্টেশনে কাটিয়ে গত এপ্রিলে পৃথিবীতে ফিরেছেন।
তিয়ানগং এর মূল মডিউল গত বছরের শুরুর দিকে কক্ষপথে প্রবেশ করেছে এবং আশা করা হচ্ছে অন্তত এক দশক ধরে স্টেশনটি কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
স্টেশনের কাজ সম্পন্ন হলে এটি হবে সোভিয়েত মির স্টেশনের মতো, মির ১৯৮০ দশক থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সফলভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীন সামরিক বাহিনী পরিচালিত মহাকাশ কর্মসূচিতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ঢালছে এবং আশা করছে ২০২২ সালের শেষ নাগাদ ক্রুরা স্থায়ীভাবে মহাকাশ স্টেশনে কাজ করতে পারবে। এমনকি চাঁদেও মানুষ পাঠাতে পারবে।
এই স্টেশনের পাশাপাশি চীন চাঁদে স্থায়ী ঘাঁটি তৈরির পরিকল্পনা করেছে, দেশটির ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বলেছে, ২০২৯ সাল নাগাদ তারা চাঁদে মানুষ পাঠানোর ক্রু মিশন পরিচালনা করবে।
বর্তমানে সক্রিয় আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) ২০২৪ সাল নাগাদ অবসরে যাবে, যদিও নাসা বলেছে, এটি ২০৩০ সাল পর্যন্ত সক্রিয় থাকবে। সূত্র: বাসস