শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার উরফা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুহাম্মদ নূরে আলম তালুকদার ভূট্টোর হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। ১৩ বছর বয়সী ওই শিক্ষার্থী বারমাইসা গ্রামের বাঘেরকান্দা গ্রামের লাল মিয়ার মেয়ে ও উরফা গোরস্থান দাখিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, মেয়ের বাবা-মা দীর্ঘদিন ধরে রাজধানী ঢাকায় থাকায়, মেয়ের চাচা মনো মিয়া শুক্রবার (৩ জুন) তার ভাতিজির বিয়ের আয়োজন করেন। এমন এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উরফা ইউপির চেয়ারম্যান নূরে আলম তালুকদার ভূট্টো সরেজমিনে গিয়ে ওই বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নালিতাবাড়ী উপজেলার মরিচপুরান ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে পোশাক শ্রমিক হাসান মিয়ার সাথে নকলা উপজেলার উরফা গোরস্থান দাখিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর বিয়ের আয়োজন করা হয়। ইউপি চেয়ারম্যান এমন সংবাদ পেয়ে গ্রাম পুলিশ সদস্যদের নিয়ে বিয়ে বাড়িতে যান এবং চেয়ারম্যানের উপস্থিতি টের পেয়ে নিকাহ্ রেজিষ্ট্রার (কাজি) ও বর পক্ষের লোকজন কৌশলে বিয়ে বাড়ি থেকে শটকে পড়েন। বিয়ের আয়োজক (মেয়ের চাচা) মনো মিয়াও ভয়ে কৌশলে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে মনো মিয়াকে বুঝিয়ে হাজির করে, তার উপস্থিতিতে গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহযোগিতায় ওই বিয়ে বন্ধ করে দেন ইউপি চেয়ারম্যান।
পরে চেয়ারম্যান নূরে আলম তালুকদার ভুট্টো এলাকার কোন ছেলে-মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে যেন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে না পারে, সে দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে বিবাহ সংশ্লিষ্ট পরিবারের সদস্য ও উপস্থিতিদের মৌখিক অঙ্গীকার করান। এছাড়াও তিনি বলেন, ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসের ৩০ তারিখে নকলাকে জেলার প্রথম বাল্যবিবাহ মুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। অতএব, উরফা ইউনিয়নে বাল্যবিবাহ কোন ভাবেই মেনে নেওয়া হবেনা। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট পরিবারের অভিভাবক, বর, আয়োজক ও নিকাহ্ রেজিষ্ট্রার (কাজী) দেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
মোশারফ হোসেন/দেশবার্তা