নালিতাবাড়ী উপজেলার জরাজীর্ণ নয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদ। দেয়াল খসে পড়ছে। পুরনো টিনের চাল। সামান্য বৃষ্টিতে পানি পড়ে। দরজা জানালার অবস্থা খুবই খারাপ। কোনোটা ভেঙ্গে পড়ে আছে। আবার কোনোটা স্পর্শ করলে ভেঙ্গে যায়। নেই কোনো সীমানা প্রাচীর। দেবে গেছে তিন কক্ষ বিশিষ্ট হাফ বিল্ডিং ভবনটি।
ইউপি সদস্যরা জানায়, শেরপুর জেলা নালিতাবাড়ী উপজেলার ৪ নং নয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদ। দেশ স্বাধীনের পূর্ব থেকেই এই ইউনিয়ন পরিষদের ভবনটি নির্মিত হয়েছে। অন্তহীন সমস্যায় জরাজীর্ণ ভবনটি সংস্কার হয়নি কখনো। চালের টিন ভাংগা হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে পড়ে পানি। মেঝেতে জমে থাকে এই পানি। নেই প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র। তাই নয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবনে রয়েছেন সীমাহীন কষ্টে। কক্ষ রয়েছে অপ্রতুল। তবুও সেবা পাচ্ছেন ইউনিয়নবাসী।
নালিতাবাড়ী উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ১০টিতে নির্মিত হয়েছে আধুনিক ভবন। শুধুমাত্র নয়াবিল ও যোগানিয়া ইউনিয়নে ভূমি জটিলতায় ভবন নির্মিত হয়নি বলে জানা গেছে। নয়াবিল ইউনিয়নের ভূমি জটিলতা সমাধান হয়েছে বিধায় দ্রুত সময়ের মধ্যে ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান।
মঞ্জুরুল আহসান/দেশবার্তা