ঢাকাSunday , 29 May 2022
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইটি বিশ্ব
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খেলা
  7. চাকরি চাই
  8. পর্যটন
  9. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  10. বিনোদন
  11. মতামত
  12. রাজনীতি
  13. লাইফ স্টাইল
  14. শিক্ষাঙ্গন
  15. সাক্ষাৎকার
 
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শেরপুরে সড়ক-মহাসড়কের ওপর শুকানো হচ্ছে বোরো ধান ও খড়: বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি

admin
May 29, 2022 3:49 am
Link Copied!

শেরপুরের বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কের ওপর শুকানো হচ্ছে বোরো ধান ও খড়। ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে ও হতাহতের আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে ব্যস্ততম শেরপুর-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের ওপর ধান ও খড় শুকানোয় যানবাহনগুলো ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

শেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে জেলায় ৯১ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছিল। কাল বৈশাখীর ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে কয়েকটি এলাকায় বোরো ধানের ক্ষতি হলেও সার্বিকভাবে উৎপাদন ভালো হয়েছে। এখন উৎপাদিত ধান ও খড় শুকানো নিয়ে কিষাণ-কিষাণিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রয়োজনীয় জায়গার অভাবে জেলার বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কের ওপর তাঁরা এসব ধান ও খড় শুকাচ্ছেন।

বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শেরপুর-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের শেরপুর-নকলা অংশের ২০ কিলোমিটার সড়কের দুইপার্শ্বেই ধান ও খড় শুকানো হচ্ছে। বেশ কয়েকজন  কিষাণ ও কিষাণি লাঠি ও বাঁশ দিয়ে ধান ও খড় নেড়ে দিচ্ছেন। সড়কের দুইপার্শ্বে ধান ও খড় শুকাতে দেওয়ায় মূল সড়ক সংকুচিত হয়ে পড়েছে এবং যাত্রীবাহী বাস, মালবোঝাই ট্রাক, সিএনজি অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলসহ অন্য যানবাহনগুলো ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। বিশেষ করে দ্রুত গতির যানবাহনগুলোর ‘ক্রসিং’ করতে সমস্যা হচ্ছে এবং যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটার ও হতাহতের আশঙ্কা রয়েছে। নকলা ও সদর উপজেলার অধিকাংশ গ্রামীণ সড়কের ওপরও ধান ও খড় শুকাতে দেখা গেছে।

এসময় সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের হাওড়া গ্রামের কৃষক আকরাম হোসেন বলেন, তিনি প্রায় এক একর জমিতে বোরো আবাদ করেছিলেন। ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ ধান কেটে ফেলেছেন। কিন্তু কয়েকদিনের বৃষ্টিতে খেত ও মাঠে পানি জমে গেছে। ফসলেরও কিছু ক্ষতি হয়েছে। ফলে উৎপন্ন ধান ও খড় তাড়াতাড়ি শুকানোর জন্য সড়কের ওপর নেড়ে দিয়েছেন। এটি অনিচ্ছাকৃত।

হাওড়া গ্রামের কিষাণি রেণুয়ারা বেগম বলেন, ‘কয়দিনের বৃষ্টিতে সময় মত ধান কাটবার পারি নাই। রইদ (রোদ) ওঠার সাথে সাথেই আমার স্বামী খেত থাইক্যা ধান কাইটা আনছে। আমগরেতো ধান শুকাবার জায়গা নাই। তাই সড়কের ওপরই ধান শুকাইতাছি।’

শেরপুর-ঢাকা মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাসের চালক মোহাম্মদ আলী বলেন, সড়কের ওপর ধান ও খড় শুকাতে দেওয়ায় যানবাহন গুলো ঝুঁকি নিয়ে চালাতে হচ্ছে। বিশেষ করে দুটি যানের ‘ক্রসিং’ করার সময় সড়কের দুইপার্শ্বে চেপে (কিনারে) যেতে হয়। এতে দুর্ঘটনার শঙ্কা বেড়ে যায়। এমনকি যাঁরা ধান শুকানোর জন্য সড়কের ওপর অবস্থান করেন তাঁদেরও হতাহতের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

সদর উপজেলার মধ্যবয়ড়া গ্রামের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, তিনি প্রায় প্রতিদিনই মোটরসাইকেলে শেরপুর-নকলা সড়কে যাতায়াত করেন। কিন্তু সড়কের ওপর ধান ও খড় শুকাতে দেওয়ায় খুবই ঝুঁকির মধ্য দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে থাকেন। বিশেষ করে সামান্য বৃষ্টি হলে খড় দিয়ে ঢাকা সড়ক পিচ্ছিল হয়ে যায়। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে মহাসড়কের ওপর ধান-খড় শুকানো বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আহবান জানান তিনি।

এব্যাপারে শেরপুরের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, সড়ক-মহাসড়কের ওপর ধান ও খড় শুকানোর বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। সড়ক বিভাগ থেকে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এটি বন্ধ করার জন্য কৃষকদের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে। তথাপি তাঁরা এ কাজটি অব্যাহত রেখেছেন। তাই এ কাজ থেকে বিরত রাখতে সচেতনতামূলক প্রচারণা কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে বলে তিনি জানান।

হামিদুর/দেশবার্তা

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
ঢাকা অফিসঃ ১৬৭/১২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা- ১০০০ আঞ্চলিক অফিস : উত্তর তেমুহনী সদর, লক্ষ্মীপুর ৩৭০০