শেরপুর জেলার সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের লছমনপুর নয়াপাড়া গ্রামে সোমবার (১৬ মে) বিকেল ৫টার দিকে বড় বোনের সাথে কবিরাজ বাড়ি চিকিৎসার জন্য যাবার পথে একটি লেবু বাগানে নিয়ে দুই যুবক কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক অষ্টাদশী যুবতী। এঘটনায় শেরপুর সদর থানার পুলিশ হাফিজুর রহমান ওরফে মন্টু (৩৫) নামে এক ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার পর থেকে অপর ধর্ষক আলম মিয়া (২৭) পলাতক রয়েছে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর জেলা শহরের চকপাঠক মহল্লার দুলালীর বাসার ভাড়াটিয়া মো. রফিকুল ইসলামের স্ত্রী তার ছোট বোনকে সাথে নিয়ে সোমবার বিকেলে সদর উপজেলার লছমনপুর নয়াপাড়া গ্রামের কবিরাজ হাবিবুল্লাহ সাধুর বাড়ি যাবার পথে ওই গ্রামে পৌঁছামাত্র সুরুজ্জামানের ছেলে হাফিজুর রহমান ওরফে মন্টু ও আলম মিয়া ওই দুই বোনকে জোরপূর্বক লেবু বাগানের মধ্যে নিয়ে যায় এবং কৌশলে তাদের আটকে রেখে অষ্টাদশী ছোট বোনকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তারা। পরে ওই দুই ধর্ষক তাদের রেখে পালিয়ে যায়। এদিকে ধর্ষণের শিকার ছোট বোনকে সাথে নিয়ে ধর্ষিতার বড়বোন ওইদিন রাতেই ওই দুই ধর্ষকের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ে করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনসুর আহাম্মদের নেতৃত্বে সদর ফাঁড়ির (ওসি) সারোয়ার হোসেন, এসআই খোকন চন্দ্র সরকার, এসআই রুবেল মিয়া, এসআই সুমন মিয়া, এসআই সুরেশ রাজবংশী সঙ্গীয় ফোর্সসহ ১৭ মে মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে লছমনপুর নয়াপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক হাফিজুর রহমান ওরফে মন্টুকে গ্রেফতার করে। ধর্ষিতার শিকার ওই যুবতীকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ডাক্তারীর পরীক্ষার পর আদালতে ২২ ধারা জবানবন্দির জন্য পাঠানো হয়েছে।
এব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পর তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেই সাথে মূল ধর্ষক মন্টুকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অপর ধর্ষক আলম মিয়াকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
হামিদুর/দেশবার্তা