“স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় শক্তিশালী নার্স নেতৃত্বের বিকল্প নেই-বিশ্ব স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে নার্সিং খাতে বিনিয়োগ বাড়ান ও নার্সদের অধিকার সংরক্ষণ করুন” এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে ধারণ করে শেরপুরে আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস-২০২২ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভা ও কেক কাটা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) সকালে বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন শেরপুর জেলা হাসপাতাল শাখা ও শেরপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটের আয়োজনে দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৯ টায় একটি বর্ণাঢ্য র্যালি শেরপুর নার্সিং ইনস্টিটিউট চত্বর থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে হাসপাতাল চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে জেলা সদর হাসপাতাল সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শেরপুর জেলা হাসপাতাল সেবা তত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) লুৎফুননেছার সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন শেরপুর জেলা হাসপাতাল শাখার সিনিয়র স্টাফ নার্স খাজিদা খাতুনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা: মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএমএ শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি ডা. এমএ বারেক তোতা, স্বাচিপ সভাপতি ডা. মো. মামুন জোস, বিএমএ ও স্বাচিপ সাধারণ সম্পাদক ডা: নাদিম হাসান।
এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো. মোবারক হোসেন, শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা: মো. খাইরুল কবীর সুমন, শেরপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটের নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ মো. গোলাম রব্বানী, জেলা নার্সেস এসোসিয়েশনের সভাপতি শরিফা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক মর্জিনা খাতুন স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও মিডওয়াইফারি ফাতেমা বিনতে সোহরাব প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, ‘নার্সিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা ফ্লোরেন্স নাইটিংগেলের সেবার মানসিকতা ছিলো। আপনারা যদি মানুষের সেবা দেন আপনারা ঐ পর্যায়ে যাবেন। প্রত্যেকের মন-মানসিকতা ফ্লোরেন্স নাইটিংগেলের মতো তৈরী করতে হবে।’ বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর এখন সম্পূর্ণ আধুনিক ও যুগোপযোগী ডিজিটাল। স্বাস্থ্য সেক্টরে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় যে কয়টি পেশার মানুষ সরাসরি জড়িত তাদের মধ্যে নার্সরা অন্যতম। বাংলাদেশে নার্সিং পেশায় গত একদশকে যে উন্নয়ন হয়েছে, তা উল্লেখ করার মতো। এর ফলে বাংলাদেশের নার্সরা আজ বিশ্বদরবারে নিজেদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখতে শুরু করেছেন। এ পর্যন্ত যতবার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছে ততবারই তার সরকার নার্সদের উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করেছে। এছাড়াও বক্তারা আরো বলেন, নার্সিং পেশা সারা বিশ্বেই একটি সম্মানজনক পেশা। এ পেশায় জড়িতরা নিজেকে মানুষের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করেন। করোনা পরিস্থিতিতেও চিকিৎসকদের মতোই নার্সরাও নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে যাচ্ছেন এবং তা অব্যাহত রয়েছে।
বক্তব্য শেষে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি নার্সিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা ফ্লোরেন্স নাইটিংগেলের জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটায় অংশগ্রহণ করেন।
র্যালি, আলোচনা সভা ও কেক কাটা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন শেরপুর জেলা হাসপাতাল শাখার সহ-সভাপতি রশিদা আক্তার, কোষাধ্যক্ষ আফসানা খাতুন, ছাত্র-ছাত্রী বিষয়ক প্রতিনিধি জান্নাতুল ফেরদৌসি, চেয়ারম্যান (স্ট্যান্ডিং কমিটি) আঙ্গুরা বেগমসহ হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসক ও নার্সগণ উপস্থিত ছিলেন।
হামিদুর/দেশবার্তা