শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলাতে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত ফুরকান আলী (৩৬) শ্রীবরদী উপজেলার কেল্লাকান্দি গ্রামের ময়দান আলীর ছেলে। ২০১১ সালের ১ জুলাই রাতে উপজেলার কেল্লাকান্দি গ্রামের স্বামীর বাড়িতে ওই ঘটনা ঘটে।
শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান মঙ্গলবার (১০ মে) মঙ্গলবার দুপুরে এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন। তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পলাতক থাকায় গ্রেফতারের পর ওই সাজা কার্যকর হবে বলে আদালত নির্দেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. গোলাম কিবরিয়া বুলু উপরিউক্ত দণ্ডাদেশ প্রদানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালে শ্রীবরদী উপজেলার বড় গেড়ামারা গ্রামের আব্দুল জব্বারের মেয়ে জহুরা বেগমের (২৩) সঙ্গে একই উপজেলার কেল্লাকান্দি গ্রামের ফুরকান আলীর বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকে স্বামী ফুরকান আলী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন যৌতুকের টাকার জন্য বিভিন্ন সময়ে জহুরা বেগমকে চাপ দিতেন ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন। কিন্তু জহুরার গরীব বাবার পক্ষে যৌতুকের টাকা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ২০১১ সালের ১ জুলাই দিবাগত রাতে কেল্লাকান্দি গ্রামের বাড়িতে স্বামী ফুরকান আলী শ্বাসরোধের মাধ্যমে স্ত্রী জহুরা বেগমকে হত্যা করেন এবং তাঁর (জহুরা) লাশ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন। ঘটনার পরপরই স্বামী ফুরকান ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন পালিয়ে যান।
এঘটনায় ২০১১ সালের ৩ জুলাই জহুরা বেগমের ভাই ফজলুল হক বাদী হয়ে ফুরকান আলীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শ্রীবরদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে শ্রীবরদী থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন একই বছরের ২০ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সাক্ষ্যপ্রমাণ বিশ্লেষণ শেষে আদালত মঙ্গলবার উপরিউক্ত রায় প্রদান করেন।
হামিদুর/দেশবার্তা