পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে শেরপুর জেলা শহরের তেরাবাজার, খরমপুর, নয়আনীবাজার, নিউমার্কেট মোড়, মাইসাহেবা জামে মসজিদের সম্মুখে আতর, টুপি ও তসবি দোকানে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ভীড় বেড়েছে। সারা বছর বেচা বিক্রি থাকলেও রমজানে ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে নতুন টুপি, আতর এবং জায়নামাজ বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দোকানীরা।
গত ২ বছর করোনাকালীন সময়ে ঈদে টুপি ও আতরের ব্যবসা না হলেও এই বছর রোজায় টুপি ও আতরের ব্যবসা অনেকটা ভাল বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
ক্রেতা সাইদুর রহমান জানান, ঈদে নতুন টুপি, খুশবু হিসেবে আতর এবং নতুন জায়নামাজ মুসুল্লীদের প্রিয় জিনিস। তবে এসবের দাম এবার তুলনামূলক বেশী চাচ্ছেন দোকানদাররা। দামাদামি করছি যেখানে কম পাব সেখান থেকেই কিনবো।
আরেক ক্রেতা শাহীন জানান, ঈদে নতুন টুপিতে আলাদা একটি আকর্ষন থাকে। এছাড়াও এদিন শরীরে খুশবু বা আতর ব্যবহার সুন্নত। তাই এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ঘুরছি। যে দোকানে পছন্দ হবে। সেখান থেকে কিনবো।
ছেলেকে সাথে নিয়ে নকলা উপজেলা থেকে বাহারী রংয়ের টুপি কিনতে এসেছেন জাফর শেখ। জাফর বলেন, ছেলের ইচ্ছা শহর থেকে টুপি, আতর কিনবে। তাই একমাত্র ছেলেকে সাথে নিয়ে শেরপুরে এসেছি।
শনিবার (৩০ এপ্রিল) শেরপুর জেলা শহরের কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা গেছে, আতর পাওয়া যাচ্ছে ১০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে। টুপি ৩০ থেকে ৩০০ টাকা ও জায়নামাজ ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে। দেশি আতরের মধ্যে হাসনাহেনা, রজনীগন্ধা, গোলাপ, বেলি, নাইট ফ্লাওয়ারের চাহিদা কিছুটা বেশি।
জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, কুয়েত, তুরস্ক, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলো থেকে দেশে আসছে রকমারী ডিজাইন আর নজরকাড়া রংয়ের টুপি, জায়নামাজ ও সুগন্ধি আতর।
জাহিদুল খান সৌরভ/দেশবার্তা