শেরপুর জেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার হিসেবে ১৬৯টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম বরাদ্দে নির্মিত ওই ঘর গুলো মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে উপকারভোগীদের ওইসব ঘরের চাবি, জমির দলিল ও কবুলিয়ত হস্তান্তর উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন শেষে জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আতিউর রহমান আতিক এমপি সদর উপজেলার ৫০ জন ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে ঘরের চাবি, জমির দলিল ও কবুলিয়ত তাদের হাতে তুলে দেন।
পরে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহনাজ ফেরদৌসের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আতিউর রহমান আতিক এমপি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো. হাসান নাহিদ চৌধুরী, শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোহিত কুমার দে, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সামিউল হক, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোবারক হোসেন, প্রেসক্লাব সভাপতি মো. শরিফুর রহমান, চরমোচারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এসএম সাব্বির আহমেদ।
ঘর হস্তান্তর শেষে ওইসব উপকারভোগীদের মাঝে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে প্রত্যেককে পুষ্টিখাদ্য হিসেবে ১ কেজি পোলাও চাল, আধা কেজি মশুর ডাল, ১ কেজি আলু, আধা কেজি চিনি, আধা লিটার সয়াবিন তেল ও ১ প্যাকেট সেমাই বিতরণ করা হয়।
এসময় সহকারি কমিশনার (ভূমি) তনিমা আফ্রাদ, সদর উপজেলা যুবউন্নয়ন অফিসার মো. হামিদুর রহমান, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা খবিরুজামান খাঁন, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনসুর আহাম্মদ, হুইপ কন্যা ডা. শারমিন রহমনা অমি ও সাদিয়া রহমান অপি, পাকুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. হায়দার আলীসহ গণমাধ্যমকর্মী ও উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে শেরপুর জেলায় মোট ১ হাজার ১১৮ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার ঘর পেয়েছন। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ২৯১টি পরিবার ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৬৭টি পরিবারকে ঘর দেয়া হয়েছে। এবার তৃতীয় পর্যায়ে ৩৩৯টি ঘরের মধ্যে প্রথম ধাপে ১৬৯টি ঘরের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এর মধ্যে শেরপুর সদরে ৫০টি, নালিতাবাড়ীতে ৫০টি, নকলাতে ৩০টি, শ্রীবরদীতে ২৫টি ও ঝিনাইগাতীতে ১৪টি ঘর রয়েছে। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে জেলায় ওইসব ঘর নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৪ কোটি ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
হামিদুর/দেশবার্তা
