শেরপুরে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে পাঁকা ঘর পাচ্ছে ১৬৯টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার। মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম বরাদ্দে নির্মিত ওই ঘর গুলো হস্তান্তর করা হবে আগামী ২৬ এপ্রিল মঙ্গলবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে উপকারভোগীদের ওইসব ঘরের চাবি, জমির দলিল ও কবুলিয়ত হস্তান্তর করবেন।
ঘর হস্তান্তর উপলক্ষে রোববার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসন কার্যালয় সম্মেলন কক্ষ রজনীগন্ধায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে এসব তথ্য জানান শেরপুরের জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ। তিনি আরও জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে জেলায় মোট ১ হাজার ১১৮ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার ঘর পাচ্ছে। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ২৯১টি পরিবার ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৬৭টি পরিবারকে ঘর দেয়া হয়েছে। এবার তৃতীয় পর্যায়ে ৩৩৯টি ঘরের মধ্যে প্রথম ধাপে ১৬৯টি ঘরের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এর মধ্যে শেরপুর সদর উপজেলায় ৫০টি, নালিতাবাড়ী উপজেলায় ৫০টি, নকলা উপজেলায় ৩০টি, শ্রীবরদী উপজেলায় ২৫টি ও ঝিনাইগাতী উপজেলা ১৪টি ঘর রয়েছে। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে জেলায় ওইসব ঘর নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৪ কোটি ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে ১৪৪টি ঘরের কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে, যা আগামী ২৬ এপ্রিল হস্তান্তরের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। বাকী ঘরগুলো আগামী ২/৩ সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ করে হস্তান্তর করে বরাদ্দকৃতদের মাঝে বুঝিয়ে দেয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মো. হাসান নাহিদ চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ফরিদা ইয়াসমিন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহনাজ ফেরদৌস, শেরপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শরিফুর রহমান, সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার, সাধারণ সম্পাদক মো. মেরাজ উদ্দিন, সিনিয়র সাংবাদিক আবুল হাশিম।
ওইসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুকতাদিরুল আহমেদ, শেরপুর প্রেসক্লাব সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবিহা জামান শাপলা, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের আরডিসি রুয়েল সাংমা, এনডিসি ডি.এম সাদিক আল শাফিনসহ জেলায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জাহিদুল খান সৌরভ/দেশবার্তা