“সুরক্ষিত বিশ্ব, নিশ্চিত স্বাস্থ্য” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শেরপুরে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) সকাল ১১টায় শেরপুর সিভিল সার্জন অফিসের আয়োজনে সিভিল সার্জন অফিস চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় সিভিল সার্জন অফিস চত্বর গিয়ে শেষ হয়। পরে সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শেরপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ অনুপম ভট্টাচার্য্য’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ।এসময় তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর টার্গেট সবার জন্য সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা এবং জনগণের সেবাদানের লক্ষে বর্তমান সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিয়েছে। যাতে সকল জনগণ এমবিবিএস ডাক্তার দ্বারা স্বাস্থ্য সেবা পায়। সে ক্ষেত্রে সরকার স্বাস্থ্য বিভাগকে উন্নত করতে অসংখ্য ডাক্তার নিয়োগ দিচ্ছেন এবং অনেক ডাক্তার নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। স্বাস্থ্যসেবার সাথে যারা জড়িত আছে এবং তার সাথে সেবাদাতা হিসেবে যারা আছে তাদের অনেক দায়দায়িত্ব আছে। অনেক সময় দেখি যে অনেক ডাক্তার আছে অর্থ কিভাবে উপার্জন করা যায়। তাই ডাক্তারের উদ্দেশ্যে বলির শিকার হয় অসহায় রোগীরা। রোগীদের কিভাবে অল্প টাকায় চিকিৎসা সেবা ও ভালো চিকিৎসা দেয়া যায়। এদিকে আমাদের সকল ডাক্তাদের সৃষ্টি রাখতে হবে। ডাক্তার যদি রোগীর অপারেশন ও রোগীকে ভুল চিকিৎসা করা থেকে সজাগ সৃষ্টি রাখতে হবে। যারা স্বাস্থ্য বিভাগে দায়িত্বে আছে তাদের সঠিক সেবামান নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে যে কোন রোগী তাদের সেবার মান ভালো পাবে। তিনি আরো বলেন, কাফনের কিন্তু পকেট নাই, করোনা সময় আমরা দেখেছি অনেক মানুষ এবং অনেক ডাক্তার করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছে তারা কিন্তু কিছু নিয়ে যেতে পারে নাই। তাই আমরা যে যার পেশাই নিয়োজিত সেখান থেকে আমাদের অসহায় ও গরীব মানুষের সেবা করতে হবে। আমাদের ২০৩০ সালের মধ্যে এডিপি অর্জন করতে হবে এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সবার জন্য সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে ২০৪১ সালে আমরা উন্নত দেশ উদযাপন করবো এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে টার্গেট আমাদের দিয়েছে তা পূরণ করতে হবে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা দৌরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছে। তাই স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মো. হাসান নাহিদ চৌধুরী, শেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতাল সহকারি পরিচালক ডাঃ মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পরিবার পরিকল্পনা উপ-পরিচালক মো. রায়হানুল ইসলাম, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ এম এ বারেক তোতা, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ এ.টি.এম মামুন (জোস), বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ মোহাম্মদ নাদিম হাসান, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মো. মোবারক হোসেন, ব্র্যাকের জেলা সমন্বয়কারী ফারহানা মিল্কী, বিটিভি সাংবাদিক দেবাশীষ ভট্টাচার্য্য।
এসময় শেরপুরের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ তোফায়েল আহমেদ, জেলা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মো. আসমাউল ইসলাম, জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা এ.কে.এম ফজলুল হক, সাংবাদিক হামিদুর রহমান, শেরপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
হামিদুর/দেশবার্তা